1. info@www.somoyer-poth.com : সময়ের পথ :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সময়ের পথ" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া লামায় পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই খুন, আটক ৫ দৌলতপুর  সীমান্তে মাদক-অস্ত্রসহ গ্রেফতার ইউপি সদস্য চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি ব্যবসা লেনদেন সৃষ্ট দ্বন্দ্বেই সোহাগ হত্যাকাণ্ড আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের ঈদ পূর্ণমিলনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত মুগদা প্রেসক্লাবের প্রয়াত দপ্তর সম্পাদক ফারুকুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী লিপ্টন ও রাজু শৈলকুপার ট্রিপল মার্ডারে শোন অ্যারেস্ট গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান এন্টি ড্রাগ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত মাদকের অপব্যবহার রোধে করণীয় ও আলোচনা সভা। ছুটিতেও লামায় মিলেছে নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা

মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরী সামিয়া ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান। ছবি : এনটিভি
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামানের মানবিকতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে কিশোরী সামিয়া (১২)। হৃৎপিণ্ডের ছিদ্র নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল মেয়েটি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার হৃৎপিণ্ডের ভাল্বগুলোর কার্যকারিতা কমে আসছিল, বিপন্ন হয়ে উঠছিল তার জীবন। তার চিকিৎসার সার্বিক ব্যয় বহন করে পাশে দাঁড়ান পুলিশের এসপি মো. আনিসুজ্জামান।

ফুসফুসের রক্তনালী সরু হওয়া এবং ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, তীব্র চাপ, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে যেত কিশোরী সামিয়া। তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতো পরিবার। সামিয়ার বাবা শামীম হোসেন একজন পোশাক শ্রমিক এবং মা রীমা আক্তার গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সামিয়া দ্বিতীয়।

‘অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শিশু সামিয়ার’-গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং তার স্ত্রী রিফাত জাহানের। তারা সামিয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন।

ঢাকা জেলার (উত্তর) ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. গোলাম সরোয়ারের মাধ্যমে সামিয়াকে গত ২৩ জুন রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৮ জুলাই তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে। পুরো পরিবারে মুখেই তখন হাসি ফোটে।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাড়ি ফেরার পথে শামীম হোসেন বলেন, নীরবে থেকেই চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান দম্পতি। চোখের সামনে যেখানে আমরা মেয়ের মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম, সেখানে আজ তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি—এটা যে আমাদের কাছে কতটা বিস্ময়ের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
কিশোরী সামিয়া বলে, আমিতো মরেই যেতাম। আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঠিয়েছিলেন আমাকে বাঁচাতে। আমরা তার জন্য দোয়া করি।

সামিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি (এসপি মো. আনিসুজ্জামান) আড়ালে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাঁর এই মানবিক গুণাবলীর জন্য ফোর্সের সদস্যরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট