বিশেষ প্রতিবেদন সময়ের পথ
অবশেষে সরকারি কার্যদিবসের সময়সীমা শেষ করে মহানগর ডিবি কর্তৃক উত্তরার সাংবাদিক রাসেল খানকে আদালতে পাঠিয়েছে
দলবাজ সাংবাদিকতার আরেক জঘন্যতম চিত্র উঠে এলো উত্তরার। সেখানে প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন কৃষকলীগ নেতা রাসেল খান। মানবকণ্ঠের সাংবাদিক পরিচয়ে। অন্যান্য পদও আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের দখলে ছিল। তারা জুলাই আগষ্টের বিপ্লব বিরোধী সহিংসতা কান্ডে জড়িত ছিলেন- এই মর্মে মামলাও রয়েছে।
গত রাতে ‘কৃষকলীগ নেতা কাম উত্তরা প্রেসক্লাব সভাপতি’ সেই রাসেল খানকে আইন শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে আটক করেই পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটে চুপ মেরে থাকে। রাসেল খানের পরিবারের সদস্যসহ অনুসারী সাংবাদিকরা থানা-পুলিশ, ডিবি, র্যাবের দপ্তরে দপ্তরে খোঁজ নিয়েও তার হদিস পাননি। তারা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ সম্ভাব্য নানা স্থানে।
উত্তরার কোনো কোনো সাংবাদিক রাসেল খানের নিরুদ্দেশ নিয়ে প্রচার প্রচারণাও চালান। তবু পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু না জানিয়ে নানারকম গুজব সৃষ্টির সুযোগ করে দেওয়া হয়। বাস্তবে কাউকে আটক করে নিরুদ্দেশ রাখার গুম কালচার থেকে পুলিশ বেরুতেই পারছে না।
আজ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক নেতা তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, রাসেল খান কৃষকলীগের নেতা এবং জুলাই আগষ্ট বিপ্লব বিরোধী সহিংসতা মামলার আসামী। তুরাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, “এই রাসেল খানকে কেউ কেউ সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেস ক্লাবের নেতা দাবী করছেন।” -তবে কি তিনি উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন না? আসল সত্য হলো: সাংবাদিকতার কার্ড গলায় ঝুলিয়েই উত্তরা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন রাসেল খান। কিন্তু দলবাজি সাংবাদিকতার ঘৃণ্য পরিণতি হিসেবে এখন তিনি রীতিমত পরিচয় সংকটেই পড়ে গেছেন। বাদ প্রতিবাদ তো অনেক দূরের কথা।
পক্ষ – প্রতিপক্ষের সব দলবাজ সাংবাদিকের আরো করুণ পরিণতি হোক- এটাই কাম্য।