এ.বি.এম.হাবিব নিজস্ব প্রতিবেদক
নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্রের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা সহ আওয়ামীলীগের দোষরকে পূনঃবাসন করার চেষ্টা, সঠিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা না করা, অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে।
গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ২০২৫ ইং তারিখ সকালে উপজেলার পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে তার বিরুদ্ধে মোঃ শহিদুলকে টাকার বিনিময়ে সভাপতি করার পাঁয়তারা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে।
পারইল এলাকার সচেতন সমাজের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক বৃন্দসহ স্থানীয় বাসিন্দা তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পারইল ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিয়া (পারইল) ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আনছার আলী, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি খলিলুর রহমান ভুট্টু, সহ-সভাপতি আনারুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ হোসেন, আব্দুর রশিদ জোয়ারদারসহ অনেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শহিদুল কে টাকা লেনদেনের কারণে সভপতি করা হলে আমরা জেনে যাবো,দুর্নীতি কতদুর পর্যন্ত গড়িয়েছে।পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গোপাল চন্দ্র সঠিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন না। বিদ্যালয়ে ঠিকমত সময় পর্যন্ত দেন না। বিদ্যালয় সকাল ৯টায় খোলার নিয়ম থাকলেও প্রায় এক ঘন্টা দেরিতে খোলা হয়। মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় তার দায়িত্ব অবহেলা সব সময় করে যান।যার সুযোগ নিয়ে অন্যান্য শিক্ষকেরাও বিদ্যালয়ে আসেন ইচ্ছে মত। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।
বক্তারা আরও বলেন, এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির সহযোগীয় বিদ্যালয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে তিনজনের নাম কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে আওয়ামী দোষরকে সভাপতি বানানোর চেষ্টা করছেন এবং মোঃ শহিদুল ইসলামকে সভাপতি করার জন্য টাকা লেনদেনের পর্বও শেষ করেছেন। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকা বাসীর কাছ থেকে বহু টাকা মেরে খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং কোর্টে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। সে এলাকাতে এমন নির্লজ্জ, যার তার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে ক্রিকেট জুয়া খেলে। পাওনাদারদের হাতে যেখানে সেখানে সবার সামনেই চর থাপ্পর খায়, সম্মান বলতে তার কিছুই নেই। সে কোন ভাবেই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা সে আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ করেন বক্তারা।
আনিত অভিযোগের বিষয়ে পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্রের বক্তব্যের জন্য বিদ্যালয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেন না।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আর যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।