মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন
বিশেষ প্রতিবেদন
বিজয়ের গৌরবোজ্জ্বল ৫৩ বছর উদযাপনে আজ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি।
সকালেই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তারা মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের আত্মত্যাগের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় সভাপতি শিব্বির আহমেদ ওসমান ,সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ নাঈম,প্রচার সম্পাদক নুরুল আফছার, অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, মিনহাজ উদ্দিন এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট জনাব কামরুল ইসলাম, শিবু মিত্রসহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, “বিজয়ের এই দিনে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই বীর শহীদদের, যাঁরা আমাদের জন্য স্বাধীনতার দ্বার উন্মোচন করেছেন। তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা মানবাধিকার রক্ষা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, বিজয়ের চেতনা শুধু উদযাপনের জন্য নয়, এটি আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার একটি সুযোগ।
আজ, ২০২৪ সালের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস উদযাপন করছি। যদি আবার আমরা সেই পুরনো চেতনার আলোয় আলোকিত হতে চাই, তবে এই চেতনায় জড়িত থাকবে নতুন দিনের সম্ভাবনা। আজ আমাদের দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নতুন রূপ নিচ্ছে, আমরা চাই এই পরিবর্তন জাতির উন্নতি, ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে সাফল্য এনে দেবে। পরিবর্তিত এই সম্ভাবনাময় দিনে আবার আমাদেরকে বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
আমাদের যুব সমাজ, আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজ আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছে। তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে সম্ভাবনার শক্তি, ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। এই প্রজন্মের কাঁধে আমাদের দেশের উন্নয়নের ভার, আর তাদের হাত ধরে আমরা যেতে চাই এক নতুন, এক স্বপ্নময় দিগন্তে।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আলোচনা সভা, মানবাধিকার সচেতনতা কার্যক্রম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
বিজয় দিবসের এই বিশেষ আয়োজনটি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশপ্রেম এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।