মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব প্রতিবেদক।
সিএমপির ইপিজেড থানার চৌকস পুলিশের অভিযানে একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি চোরাই সিএনজিসহ চোরচক্রের ০৪ জন সদস্য গ্রেফতার।
১২ নভেম্বর(বৃহস্পতিবার) সিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো.তারেক আজিজ জানান, ১১ নভেম্বর একটি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি চোরাই সিএনজিসহ চোরচক্রের ০৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
তিনি আরো বলেন,সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কবির আহম্মেদের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আখতারউজ্জামানের নেতৃত্বে সিএনজি চক্রের চারজন কাটক করে।
ঘটনাক্রমে,গত ০৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেয়ার রাইডার মোটরবাইক চালক মোঃ মোমিন উদ্দিন (৪৩) তার মালিকানাধীন বাজাজ প্লাটিনা ১০২ সিসির মোটরসাইকেলটি ইপিজেড থানাধীন চৌধুরী মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর রেখে নাশতা করতে যায়। নাশতা শেষে ফেরার পথে সে তার বাইকের চাবিটি হারিয়ে ফেলে। এসময় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ব্যাক্তি এসে তাকে চাবি ছাড়া বাইক স্টার্ট দেওয়ায় সাহায্য করবে বলে আস্বস্ত করে এবং একটি টেস্টার আনতে বলে। দোকান থেকে টেস্টার নিয়ে এসে বাদী তার বাইকটি আর খুঁজে পায়নি। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ইপিজেড থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইপিজেড থানার এস আই চাংকু নাগ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকায় অভিযানে ১১ ডিসেম্বর রাত ১২:৩০টায় চুরির সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ জামশেদ, ফয়সাল উদ্দিনকে আটক করেন। তাদের তথ্যে বাদীর চুরি হওয়া বাজাজ প্লাটিনা ১০২ সিসির মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও এসময় তাদের হেফাজত থেকে একটি চোরাই সিএনজির ডকুমেন্ট উদ্ধার। তাদের সহযোগী অপর সদস্যের সহায়তায় ৯নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে চুরি করেছে বলে জানায়। রাত ১:৩০টায় তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকা থেকে উক্ত চোরাই চক্রের অপর সদস্য জামশেদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। রাত ৩টায় জামশেদ উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের অভিযানে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় অভিযানে উক্ত নম্বরপ্লেটবিহীন চোরাই সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়।