মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা দেশে শীর্ষ আলোচিত সমালোচনার ঝড় তোলপাড় জনক
নির্মম হত্যাকান্ডের জেরে আলোড়ন ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আইনজীবী হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেফতার। চট্টগ্রাম আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ভৈরব থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে রেল স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পলাতক আাসামিকে।
চন্দনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।
আটক কৃত চন্দন ভৈরবের মেথরপট্টিতে তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছানোর আগেই তাকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানাধীন বান্ডেল রোডের বাসিন্দা, সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।
আইনজীবী লোমহর্ষক হত্যার ঘটনায় একটি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য :
আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ১নং আসামি চন্দন। এ মামলায় পুলিশ আগেই ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নাকচ করে সম্মিলিত সনাতনি জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা আদালতপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালান। হামলা করে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে।