ফাইতংয়ের বাবার সাথে ছেলে অভিমান করে বিষপানে মৃত্যু
মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন লাম্বাশিয়া ৭ নং ওয়ার্ড প্রায়সময় বাবা-মা’কে মারধর করে সেই বাঁধা দেন। তখন বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে’কে মারধর ও মোবাইল ফোনটি নষ্ট করে। ছেলে অভিমানে বাগানে গিয়ে খেতের বিষপান করে।গত ২০ দিন আগে, বিষপানের পরপরই পরিবারের লোকজন বিষপান ছেলে খায়রুল আলমকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখান থেকে গত দুইদিন আগে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ১২ টায় মৃত্য হয়েছে৷ ফাইতং ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড লাম্বাশিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিষপান করা ছেলে খায়রুল আলম (১৮) ফাইতং ইউনিয়ন লাম্বাশিয়া ৭নং ওয়ার্ড এলাকার রুহুল আমিন ছেলে খায়রুল আলম (১৮) বাবার সাথে অভিমান করে এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ফাইতং মো. রাসেল বাগানের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা, হচ্ছে কুমিল্লা দেবহাটা সাতক্ষীরা এলাকায়।
উপস্থিতি’তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয়া বলেন, বিষপান পরে খায়রুল আলম’কে চিকিৎসা করা হয়েছে দুইদিন আগে বাড়িতে নিয়ে আসছে। আজ ১২ টায় বাড়িতে মৃত্যু হয়। বিষপান ২০ দিন হওয়ায় গায়ের কোন আঘাত চিহ্ন পাওয়া দেখা যায়নি। বিষপান বিষয়টি এলাকার সবাই জানে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত বড় ভাই-বোন রুমা আক্তার, মো. শাহিন আলম বলেন, ভাই মানসিক সমস্যা ছিল তাই অভিমান করে বিষপান করে। আমরা ভাই-বোন ৭ জন তার মধ্যে সেই ৩ নং সেই ডাম্পার ট্রাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ছেলে মানসিক সমস্যা ছিল তাই। পাহাড়ের উপরে গিয়ে বিষপান করে। পরে স্থানী লোকজন সহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে আজ মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে বিষপানের এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের এস আই রফিক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ও স্থানীয়দের সুপারিশে নিহতের লাশ বিনা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাপন-কাপনের জন্য বলা হয়েছে।