বেকার হয়ে পড়বে লক্ষাধিক শ্রমিক
মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় ৭০টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইট ভাটায় কাজ করেছেন লক্ষাধিক শ্রমিক। এর সঙ্গে উন্নয়নও জড়িত রয়েছে। ইট ছাড়া সমতল জেলা হতে পরিবহন করে এনে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ইটের বিকল্প এখনো কিছু গড়ে উঠেনি। গত ৫ আগষ্ট সরকারের পতনের পরিবর্তনের পরে অন্তবর্তীকালিন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের সমস্ত অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট তৈরি করার নির্দেশাও দেওয়া হয়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,পার্বত্য জেলাতে মোটেই ইট ভাটা করতে দেয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্তে ইট ভাটা বন্ধ হলে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে চলমান কয়েক হাজার কোটি টাকার সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন থমকে যাবে। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ভেস্তে যাওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন বঞ্চিত হবে এ জেলায়। শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে ইটভাটা মালিকদের। শক্ত প্রভাব পড়বে পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজে। বেকার হয়ে পড়বে এ পেশায় নিয়োজিত লক্ষাধিক শ্রমিক। তাই আগামী ৬ মাস পর্যন্ত ইটভাটা চালুর রাখার ব্যবস্থা গ্রহনে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলার ঠিকাদার, নির্মাণ শ্রমিক, ইটভাটার শ্রমিক ও পরিবহন সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ পার্বত্যবাসী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে ঠিকাদার, নির্মাণ শ্রমিক, ইটভাটা ও পরিবহন সমিতির নেতৃবৃন্দরা এ দাবী তুলে ধরেন।
লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন জানান, ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষাধিক শ্রমিক,শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে ইটভাটা মালিকদের। জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম চৌং বলেন, সরকারী ভাবে ইটভাটা বন্ধে নির্দশেনা রয়েছে,১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় আইন অমান্য করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে সেভেন বিএম ব্রিক ফিল্ড এর মালিক কবির আহমেদ এর নিকট হতে ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ)আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা অনুযায়ী =১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা এবং গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতিত পিকআপ (ডেম্পার) চালানোর দায়ে সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এর ৭২ ধারায় পিকআপ গাড়ি চালক মোজাম্মেল হক এর নিকট হতে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।