মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলার বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের ছাদুঅং মার্মা পাড়ার ধাবনখালী খালে স্থানীয় যুবক কর্তৃক এক উপজাতি তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছাদুঅং মার্মা পাড়ায় তরুনী ধর্ষণের শিখার হয়। উক্ত পাড়ার ধাবনখালী খালে গোসল করতে যায়। ওই খালে গোসল করার এক পর্যায়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যৌথ খামার এলাকার নুর মোহাম্মদের পুত্র মো. সেলিম (২৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মতিউর রহমান (২৬) ধর্ষণ করার এক পর্যাযে ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে ধর্ষক মো.সেলিম (২৫) পালিয়ে গেলেও অপর ধর্ষক মতিউর রহমান (২৬) কে পুলিশ দ্রুত সময়ে আটক করেন। জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়া সেলিম কে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি’র বিচক্ষণতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই আসামী কে বাইশারীতে অভিযান চালিয়ে আটক করেন। ধর্ষিতা তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জানা যায়,ধর্ষিতা তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন পাহাড়ি তরুনী। সোমবার সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি জোন সদর থেকে প্রায় ১৩ কিঃমিঃ উত্তরে এবং বাইশারী তদন্ত পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১.৫ কিঃমিঃ উত্তরে বাইশারী ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডস্থ ছাদুঅং মার্মা পাড়া সংলগ্ন ধাবনখালী খালে গোসল করতে গেলে বাঙালি এই দুই যুবক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানান,ভিকটিম ও তার পরিবার থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজুর পরই তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৮ ঘন্টার ব্যবধানে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বাইশারী থেকে মো. মতিউর রহমান ও মো: সেলিম কে আটক করা হয়।আসামিকে বান্দরবান আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।