মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় উপজেলা হদিশ মিলছে না আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাতাদের তৃনমুল কর্মীদের ক্ষোভ গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছর পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়,কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে দেখা মিলছে না উপজেলা আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের সুবিধা গ্রহণকারী নেতাদের যার ফল অভিভাবক শূন্যতা দেখা দিয়েছে তৃণমূল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর থেকে লামায় দীর্ঘ ১৬ বছর শক্ত সিন্ডিকেট মাধ্যমে দলকে নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে দলের গুটিকয়েক সিনিয়র নেতা ও তাদের তোষামদি করা সিন্ডিকেটের লোকজন ছাড়া দলের দুঃসময়ের কোন নেতাকর্মী সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সুযোগ দেয়নি। উপজেলা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে যারা রয়েছে ১৬ বছরে দলের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। এবং কখনো আওয়ামী লীগ বিরোধীদল হলেও যেন তাদের কোন সমস্যা না হয়। সেজন্য তারা (বিএমপি/জামায়াতের) শীর্ষ স্থানীয় কিছু নেতাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এ সময় লামা উপজেলা পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করি পরবর্তীতে আমাদের অ্যাক্টিভিটিস এর উপর বিচার বিশ্লেষনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের বিভিন্ন শীর্ষ পথ আমরা অর্জন করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দীর্ঘ ১৬ বছরে আমরা দলের কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি কোন সহযোগিতার জন্য গেলে তারা শুধু বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ের গল্প শুনাতেন আমাদের অনেক ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীরা বিভিন্ন সরকারি চাকুরির নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও আমাদের নেতারা আমাদের চাকুরির সুযোগ দেয়নি।
ঠিকাদারী ব্যবসা করতে গেলেও সেখানেও বিভিন্নভাবে বাদা প্রধান করেছেন যাতে করে আমরা কোন কাজ করতে না পারি সিনিয়র নেতাদের কাছে ছোটখাটো কোন কাজের জন্য সহযোগিতা চাইলেও তারা পাত্তা দিতো না। এক ছাত্রনেতা দুঃখ করে বলেন, কাজ তো দূরের কথা ঈদের সালামিও আমরা পেতাম না আমাদের কর্মীদের আমরা ভালোভাবে ঈদ উপহার দিতে পারতাম না।এতদিন আমরা আমাদের পরিবার থেকে টাকা নিয়ে সংগঠন চালিয়েছি আশায় ছিলাম হয়তো আধার কেটে আলো আসবে কিন্তু তা আর হলো না। হয়তো আলো থাকলেও আধার আর কখনো কাটতো না। (সিন্ডিকেট) ৫ই আগস্ট এর পরবর্তী সময়ে লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, পৌরসভার মেয়র ও লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম দলের বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মীদের মুঠোফোনে খোঁজখবর নিলেও বাকি নেতাদের হদিশ মিলছে না। অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ ওই সকল নেতাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোটোফোন কোম্পানি বলে এ নাম্বারটি আর ব্যবহারিত হচ্ছে না, বিশেষ সূত্রে জানা যায় দলের এই দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করার ভয়ে ব্যবহারিত নাম্বার বন্ধ করে নতুন নাম্বার নিয়েছেন, আবার অনেক নেতার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হলেও তারা বলেন, আমরা এই ১৬ বছরে কিছুই করতে পারেনি নিজে চলতে হিমশিম খাচ্ছি তাই কাউকে সহযোগিতা করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। তৃণমূল নেতাদের দাবি আমরা টাকা পয়সা চাইনা আমরা চাই আমাদের নেতৃবৃন্দ যাদের পিছনে আমরা রাত দিন পরিশ্রম কাজ করেছি তারা অন্ততপক্ষে আমাদের খোঁজ-খবর রাখুক। আমরা কি অবস্থায় রয়েছি তা জানুক কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য লামা পৌরসভার মেয়র ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম ছাড়া কেউ একটা ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নেয়নি। এ সময় এক শ্রমিকলীগ নেতা হাস্যরস্য দিয়ে বলেন, আমাদের লামায় রাতারাতি জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া নেতারা নাকি বিগত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন’নি এখন তারা পরিবার নিয়ে মানবতার দিন কাটাচ্ছেন। এ’সময় এক ছাত্রলীগ নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক পোস্ট করেন, যে সকল নেতারা আত্নগোপনে আছেন, কর্মীদের টাকা দেওয়ার ভয়ে ফোন নাম্বার ও পরিবর্তন করেছেন আপনাদের কিছু লাগলে বলবেন। প্রয়োজনে ফান্ড তৈরি করে দেওয়া হবে,কর্মীরা আপনাদের মতো সার্থপর না।।