মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলার লামা পৌরসভায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে জনজীবনে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে শহরবাসী লামা পৌরসভা জুড়ে বসতবাড়ি দোকানপাট হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্ট হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় মশার বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালবেলায়। পৌর এলাকার সচেতন জনসাধারণের কাছে জানতে চাইলে তাড়া জানান, পৌর এলাকায় বিভিন্ন ঝোপঝার,ময়লার স্তুপ ও বিভিন্ন জলাশয় ময়লার ভাগের পরিণত হয়েছে যার ফলে এসব ময়লার স্তুপ থেকে মশার বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবছর লামা পৌরসভার মশাবৃদ্ধি রোধে পৌরসভা থেকে মশক নিধন কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও এবছর তা দেখা মিলছে না। যার ফলে পৌর এলাকার জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরো জানান, আমরা পৌর কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করে থাকি তাহলে কেন আমরা পৌরসভার সেবা পাবো না। পৌরসভা সংশ্লিষ্ট দুই-একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা জানান, পৌরসভার মেয়র পথ শুন্য থাকাই এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়ে হলেও প্রশাসকের ভূমিকে তেমন নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় দোকানপাট বাসা বাড়িতে মানুষ চলাফেরা করতে পারছে না। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে মন বসাতে পারছে না। মশার কয়েল সহ মশা নিধনে বাজারজাতকৃত বিভিন্ন স্প্রে ব্যবহার করেও নিস্তার মিলছে না। ইতোমধ্যে পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মশার কামড়ে শিশু-কিশোর বয়স বৃদ্ধ অনেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে হাসপাতাল গুলোতে দিন দিন রোগীর চাপ বৃদ্ধির পাচ্ছে। ফলে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা, এমতাবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে লামা পৌরসভা অল্প সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু জোনে পরিণত হবে। ডেঙ্গু সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, ব্যক্তি সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু রোধ করতে বাসা বাড়ির আশপাশে ও বাড়ির ছাদে বৃষ্টির জমা পানি তিন দিনের বেশি না রাখতে পরামর্শ দেন। এবং আশপাশের সব ঝোপঝাড় গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন। এবং কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে কালক্ষেপন না করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।