1. info@www.somoyer-poth.com : সময়ের পথ :
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সময়ের পথ" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
আবারো নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সিএমপি কমিশনার জনাব হাসিব আজিজ জলদস্যুতা নানামূখী অপরাধীদের ঈদ উপহার বিশেষ মতবিনিময় সভা :র‌্যাব-৭ বান্দরবানে এপেক্স ক্লাব অব ঈদ সামগ্রী বিতরণ কুষ্টিয়ার চার সুদেল ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে হারুন এখন ঘরছাড়া ১৯৮৬ খ্রি. প্রতিষ্ঠিত হেফজখানার নতুন অনুষদ উদ্বোধন লামায় বিভিন্ন সময় অভিযানে জব্দ করা বালু নিলামে বিক্রি পাহাড়ে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশিসহ আহত দুই “পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের কঠোর পদক্ষেপ: খুলশীর নতুন ওসি আফতাব হোসেন” চট্টগ্রামে ফুটপাত দখল নিয়ে বিএনপির দু পক্ষের সংঘর্ষ দুজন গুলি বিদ্ধ ২ ও একজন ছুরি আঘাত চট্টগ্রাম মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতার বিতরণ

বান্দরবানে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলার অন্যতম জনবহুল এলাকায়
পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলেছে লামা উপজেলা ১৯২৩ সালে লামা থানা গঠিত হয। ১৯৮৫ সালে লামা থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। লামা উপজেলার নামকরণ: মাতামুহুরী নদী বিধৌত অঞ্চলে অবস্থিত লামা এর নামকরণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারো কারো মতে লামা শব্দটির অর্থ নিচের দিক বা ভাটি এলাকা। এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দ। পার্বত্য অঞ্চলে মাতামুহুরী নদীর ভাটি এলাকায় অবস্থিত বলেই এ অঞ্চলের নাম লামা। আবার উপজাতীদের কিংবদন্তী অনুসারে জানা যায়, বর্তমানে লামামুখ এলাকায় আহলামা নামক (যার অর্থ পরমা সুন্দরী) এক সম্ভ্রান্ত মার্মা উপজাতি বসবাস করত। ঐ সময়ে তার আর্থিক স্বচ্ছলতার ও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে রোয়াবা পাড়া নামকরণ করা হয়। পরবর্তীকালে লামা খাল, লামা বাজার, মৌজা ইত্যাদি তার নামে নামকরণ করা হয়। ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নামে কক্সবাজার যেমন নামকরণ করা হয় ঠিক তেমনি ব্যক্তি আহ্লামা এর নামে পরবর্তীকালে বাংলার উচ্চারণ ও বানানের অপভ্রংশ হয়ে লামা নামকরণ করা হয়। লামায় অবস্থানরত সকল উপজাতি অ-উপজাতির বয়োজ্যেষ্ঠ লোকেরা শেষোক্ত মতটি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন। সময়ের সাথে পিছিয়ে পড়া তিন পার্বত্য এলাকা পর্যটনের দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও লামা উপজেলা ছিল তার ব্যাতিক্রম, সরকারি ও ব্যক্তিগত কোন উদ্যোগ না থাকায় এই উপজেলাটি পিছিয়ে পড়েছিলেন বলে জানান উপজেলা সচেতন মহল।উপজেলা স্থানীয় জনসাধারণের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে, লামা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জহিরুল ইসলামের হাত ধরে লামা পৌরসভা কার্যালয়ের পাশেই নির্মাণ করেন বীর বাহাদুর কানুন, শিশু পার্ক, ও তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট এ’টুকু দিয়ে শুরু হয় সম্ভাবনাময় বিনোদনের মাধ্যম, পরবর্তীতে কিছু উদীয়মান তরুণ উদ্যোক্তার হাত ধরে শুরু হয় লামার পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা, লামা পৌরসভার প্রবেশ পথে মিরিঞ্জা নামক স্থানে সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশে পাহাড়ের এক কোনে ছোট্ট একটি মাচাং ঘর ও আকাশের নিচে কয়েকটি তাবুঘর দিয়ে শুরু হয় মিরিঞ্জা ভ্যালি নামের ইকো রেসোর্ট, শুরুতেই স্থানীয় পর্যটকরাই এই ইকো রিসোর্টটির অপার সৌন্দর্যকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরে,পর্যটকদের নজরে আসে। এবং বিভিন্ন স্থানীয় টোর গাইড এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকদের আগ্রহী করতে শুরু করে, পর্যটক বাড়ার সাথে সাথে মিরিঞ্জা ভ্যালীর পাশে একে একে বাড়তে থাকে উদ্যোক্তা তাদের হাত ধরে অনন্য রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট,মারাইংছা হিল,মিরিঞ্জা সানসেট, ডেঞ্জার হিল, লামা হিল স্টেশন, হিলস্কেপ রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট মেঘ বেলা রিসোর্ট, লারং রেস্টুরেন্ট সহ আরও কয়েকটি ইকো রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে পথ চলা শুরু করে। যেটিকে এখন দ্বিতীয় সাজেক ভ্যালী বলে পর্যটকরা অবহিত করেছেন। বিগত দিনে পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে ৩ পার্বত্য এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রবেশাধিকার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা থাকাই ভ্রমন প্রিয়াসু পর্যটকরা পাহাড়ের সুন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন, লামা উপজেলাটি বান্দরবান জেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি বিশ্বের বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ১৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি অবস্থিত, যার ফলে ভ্রমণ প্রিয়াসু পর্যটকরা অল্প খরচের মধ্যে পাহাড় ও সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। যার কারণে পর্যটকদের চাহিদার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে এ পর্যটন কেন্দ্রটি। এ’পর্যটন শিল্পের উত্থানের সাথে সাথে এ এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বেকার যুবকরা আইয়ে নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে, এ উপজেলায় ধীরে ধীরে পর্যটক বেড়ে যাওয়াই স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা পর্যটকদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী রেস্টুরেন্ট, হোটেল-মোটেল ও যোগাযোগের জন্য পর্যটকবহনের গাড়ি ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সুবিধা ও নিরাপত্তা জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। যেটির ফলে পিছিয়ে পড়া এ জনপদ দ্রুত সময়ের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছে। পর্যটন উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানায়, ভ্রমন প্রিয়াসু পর্যটকরা রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি চেয়ে বান্দরবানের লামাতে আসতে বেশি ইচ্ছুক, যার কারণ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও দ্বিতীয় সাজেক ভ্যালী খেত, লামা খুব নিকটবর্তী হওয়ায় পর্যটকরা স্বল্প খরচে সমুদ্র ও পাহাড়ের সুন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। তারা সরকার যদি অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি প্রদান করে তাহলে এ পর্যটন শিল্প কে বিশ্বমানের করা সম্ভব মনে করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট