মোহাম্মদ এমদাদ খান খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে জেলা জিয়া পরিষদের সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি টাউন হলে খাগড়াছড়ি জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিন্নাত বিথী, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এম.এন.আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, অনিমেষ চাকমা রিংকু, জেলা যুব দলের সভাপতি মাহবুবুর আলম সবুজ, জেলা জিয়া পরিষদের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা জিয়া পরিষদের সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক।
সমাবেশে জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত সরকারের আমলে যারা বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুত এবং শিক্ষকদের দুর্গম সীমান্ত এলাকার বদলী করে হয়রানি করেছে। আমরা কিছু বলতে পারিনি। বললে লাভ হয়নি। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ছিলো একটি দুর্নীতির আঁখড়া। নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়োছিলো সবাই মিলে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সরকারের পতন হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই প্রাণ খুলে কথা বলার অধিকার।
জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের জবাবে প্রধান অতিথি ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন, আমরা বিগত স্বৈরাচারী সরকার হতে বিভিন্নভাবে হয়রানি, মামলা-হামলার স্বীকার হয়েছি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পরে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতন হলেও তার দোসররা এখনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা করছে। কাজে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেসব ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশ এখন বৈষম্যমুক্ত। তাই সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বিএনপিকে সামনে জয় যুক্ত করে বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার সহস্রাধিক শিক্ষকসহ পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।