সেলিম চৌধুরী পটিয়া প্রতিনিধি।
সেলিম চৌধুরী পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া উপজেলার একমাত্র বাইপাস সড়ক যেন ভয়ানক ক্রাইম জোনে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন রাতে ও দিনে ঘটছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ। সড়কটি পৌরসদর ও পাশ্ববর্তী ভাটিখাইন এবং কচুয়ায় ইউনিয়ন ঘেঁষে যাওয়ার কারণে অপরাধীরা খুব সহজে চুরি, ছিনতাই করে নিরাপদে ফিরে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে পটিয়া বাইপাস সড়কে চুরি, ছিনতাই ও প্রািন্তক খামারীদের গর” চুরি বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশম ও মানবন্ধন করেছে। বাইপাস সড়কের ভাটিখাইন-করল মহানন্দ আশ্রম মোড় এলাকায় সচেতন নাগরিক সমাজ ও ক্ষতিগ্রস্থ খামারীবৃন্দের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নাগিরক সমাজের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আশিকুল মোস্তফা তাইফুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভাটিখাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ায়রম্যান মাহবুবুল আলম, ইউপি সদস্য নুরুল আবছার নোমান, আবু তালেব মেম্বার, মহিলা ইউপি সদস্য কাজী জোবাইদা রোখসানা, সাবেক মেম্বার গোপন জলদাস, সমাজকর্মী ইছহাক মিয়া মাসুদ, ছাত্রনেতা মাহবুব উল্লাহ, কাজী নাজিম, মুহাম্মদ নাছির, ইউনুছ, চুরির শিকার ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের মধ্যে, সুমন বড়–য়া, মামুনুর রশিদ, জসিম উদ্দিন, মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এ সড়কে প্রায় প্রতিদিন এভাবে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ হলেও দীর্ঘদিন পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পটিয়া বাইপাস সড়ক দিনে ও রাতে যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্য। গত ২৫ জুলাই সড়ক সংলগ্ন ভাটিখাইন ইউনিয়নের করল গ্রামের র”হুল আমিন মেম্বারের বাড়ির জসিম উদ্দিনের খামার থেকে ৫টি গর” চুরি, ২৯ আগস্ট বাইপাস সংলগ্ন ভাটিখাইন বারেক চেয়ারম্যানের বাড়ির মেহেদী ভিলা থেকে মালামাল লুট ও চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে বাইপাস মহানন্দ মন্দিরের পাশে বিসমিল্লাাহ এগ্রো খামার থেকেও গর” চুরির ঘটনা ঘেেট। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দূরপাল্লার গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে ছিনতাই,মোটরসাইকেল ছিনতাই, পণ্যবহনকারী গাড়ি থামিয়ে মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে অহরঅহ। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে পটিয়া বাইপাসের ফার”কী পাড়া পয়েন্টে চট্টগ্রামমুখী দূরপাল্লার একটি চেয়ারকোচ থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে যিশু দে নামের একজনকে পুলিশ গর” চুরির দায়ে শনিবার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সংঘবদ্ধ চোরের তথ্য মিলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নেতৃবৃন্দ বর্তমানে সেনাবাহিনী ও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাগিরক সমাজের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আশিকুল মোস্তফা তাইফু বলেন, তাদের নিজস্ব উদ্যোগে ৫ কিলোমিটার বাইপাস এলাকার আন্ত সংযোগ মোড়গুলোতে সিসিটিভি ক্যামরা বসোনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় এ উদ্যোগ অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুন সড়ক ও জনপথ (সওজ) এর অর্থায়নে পটিয়া বাইপাস সড়কের কাজ শুর” হয়। কাজ শেষে ২০১৯ সালে সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। সড়কটি উদ্বোধনের দীর্ঘ ৪ বছর পের”লো সড়ক বাতি লাগানো হয়নি। স্থনীয় লোকজন ও কক্সবাজার, বান্দরবান এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা ভয়ে থাকেন। গুর”ত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অপরাধীদের নিরাপদ ঠিকানা হয়ে উঠেছে।