বিশেষ প্রতিবেদন এম এ নাঈম
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গনঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিকের এক মত বিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয়কদের বাকবিতন্ডা থেকে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত ছিল হাসনাত আবদুল্লাহ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক রাসেল ও রাফি।
৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করার এক পর্যায়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের ২০১৭-২০১৮ সেশনের এক শিক্ষার্থী সমন্বয়কদের প্রশ্নবিদ্ধ করে All are equal but some are more equal” মন্তব্য করার পর হঠাৎ করেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার পরবর্তীতে আন্দোলনে সোচ্চার থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের এক শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির প্রচার-প্রচারণার অভিযোগ তুলেন এবং সেই মুহূর্তে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয়কদের পক্ষে একজন তার পাল্টা উত্তর দেওয়ায় হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে মত বিভেদ নিয়ে দুটি দলের সৃষ্টি হয়। এবং এই উত্তেজনা থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এসময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হাসনাত আবদুল্লাহ, রাসেল ও রাফিসহ অন্যান্য সমন্বয়করা কয়েকদফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
উত্তেজনার মুহুর্তে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ভাইয়েরা আপনারা সবাই শান্ত হোন, এখানে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঢুকে গেছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য” বলে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন যা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একাংশ শোনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে অনেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর আগমনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব সৃষ্টি করার পায়তারা বলে অভিযোগ তুলেন।
এদিকে বেলা তিনটায় চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের উদ্যোগে পূর্ব নির্ধারিত মতবিনিময় সভা শুরুতে বিলম্বিত হয়।