1. info@www.somoyer-poth.com : সময়ের পথ :
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সময়ের পথ" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
খুলশীতে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ও হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার পুলিশের অভিযানে অস্ত্রধারী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ কট ৩ :সিএমপি লামায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে ছাত্রলীগে দুই-নেতা গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় উৎসাহ সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ গঠন করার লক্ষ্যে একমত মতবিনিময় সভা নওগাঁর মহাদেবপুরে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য দাবী করায় সংঘর্ষে আহত ৪, এলাকাবাসীর মানববন্ধন লামায় বৈমম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন খাজা দরবেশ মাওলা (রহ.) এর গবেষণামূলক জীবনীগ্রন্থ “মাওয়াকিয়ুন নুজুম (নক্ষত্ররাজির অস্তাচল)” প্রকাশনায় সংবর্ধনা, শুকরিয়া ও দোয়া মাহফিল চট্টগ্রামে আইকনিক এক্সপ্রেস প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই: ডা.শফিকুর রহমান

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন! পক্ষে-বিপক্ষে কাঁপছে দেশ! কাঁদছে হৃদয়, প্রশ্নবিদ্ধ বিবেক!

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব প্রতিনিধি।

চট্টগ্রাম : আমরা স্বাধীন! দেশের দুঃসময় দুর্দিনে জাতীয় সংগীতের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা এখন তুঙ্গে। একে অপরের প্রতি ক্ষোভ সংক্ষুব্ধতা বিক্ষুব্ধতা মতপার্থক্য বাড়ছে। হঠাৎ জাতীয় সংগীত পরিবর্তন কেন! পক্ষে-বিপক্ষে কাঁপছে দেশ! কাঁদছে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় শত কোটি প্রশ্নবিদ্ধ বিবেক ! প্রতিবাদ আন্দোলনে কাঁপছে রাজপথ। কাঁদছে কাঁপছে বাংলা। বাঙালি বাংলা প্রিয় কোটি জনতার আবেগ অনুভূতি বিবেক মন প্রাণ হৃদয়।

প্রাণপ্রিয় জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের আলোচনা এখন তুঙ্গে। বিশ্বের একাধিক দেশ তাদের প্রয়োজনে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করেছেন। অনেকেই আবার বাতিল করে নতুন ভাবে গঠন করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একই পথে হাঁটছে। জাতীয় সংগীত বাতিল পরিবর্তন আলোচনা সমালোচনা এখন শীর্ষে।

যা আলোচিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া গণমাধ্যম প্রিন্ট পত্রিকা দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। আলোচনায় সরব জাতীয় সংগীত রাখা,আর না রাখা নিয়ে। দেশের মানুষের মত পার্থক্যে রুচি চিন্তা চেতনায় ভিন্ন বিচার বিশ্লেষণ ভালো-মন্দ নিত্য আলোচনায় রয়েছে মানুষের মুখে মুখে।
দেশপ্রেমিক সকল জাগ্রত বাঙালি দেশপ্রেমিক সর্বস্তর মানুষের মাঝে।

জাতীয় সংগীত বহাল রাখা কিংবা পরিবর্তন বা বাতিলে আলোচিত সমালোচিত হচ্ছে নানাভাবে। পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন সক্রিয়তায় জীবনঝিুঁক ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইতিবাচক নেতিবাচক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে স্বস্তিরতা এবং অস্থিরতা মত প্রকাশ করছেন অনেকেই। এ নিয়ে কাজ করছেন দেশের রীতি নীতিনীতি নির্ধারক শীর্ষজন। গন্যমান্য ব্যক্তিগন সর্বস্তরের চিন্তা চেতনার মাঝে। জাতীয় সংগীত রাখা, আর না রাখা, নিয়ে নিত্য নতুনভাবে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠছে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। ন্যায় নীতিবান নৈতিক আদর্শিক দেশপ্রেমিক মানুষের মুখে মুখে।

জাতীয় সংগীত যারা পরিবর্তন বা বাতিল দাবি তুলেছে তারা বাঙালির স্বপক্ষে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং বাঙালির অস্তিত্বে এবং চেতনায় আরো সক্রিয় এবং জাগ্রত করার উদ্দেশ্যেই বাতিলের দাবি তুলেছেন। বাতিল কারীরা বলেন, জাতীয় সংগীতে আমাদের বিশ্ব ইতিহাস ঐতিহ্য অস্তিত্বের পতিক। আমাদের প্রতিটি জীবনের কনা অংশে উৎসাহ প্রেরণা গর্ব।
আমাদের জীবন অস্তিত্ব। জাগ্রত বাঙালির হিসেববে জেগে থাকার জেগে থাকার মানসিক শান্তি স্বস্তির খোরাক।

কিন্তু সেই জাতীয় সংগীতে বাস্তবতার মিল নেই ছিটেফোঁটা। বর্তমানের বাংলাদেশের কথা উল্লেখ নাই। সংকটে কিংবা দুর্দিনে আমাদের জাগ্রত রাখার সক্ষমতা খুব কমই রাখে। এটির রচয়িতার প্রতি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মতাদর্শের মিল নাই ১২০ বছর আগের বঙ্গভঙ্গ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষপট ইসুতে এটি রচনা করা হয়েছিল ৯০% মুসলিম প্রধান দেশের জন্য ধর্মীয় আঘাতসহ নানা নেতিবাচক ইস্যুতে বাতিলের দাবি ওঠে।

অপরদিকে যারা জাতীয় সংগীত বহাল রাখতে এর স্বপক্ষে কাজ করছেন তারা একই সাথে সারাদেশে সংগীত পরিবেশন সহ জাতীয় সংগীত কে কোনভাবেই পরিবর্তন বাতিল করা যাবে না শর্তে দাবি তুলেন। জাতীয় সংগীত জাতীয় পতাকাসহ দেশের স্পর্শকাতর ইতিহাসের বিকৃতি করা যাবে না কোনভাবেই। শতভাগ বহাল রাখার দাবিতে জীবন ঝুঁকি সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। তাদের দাবি জাতীয় সংগীত বাতিল দাবিকারীরা স্বার্থন্বেষী ধর্মান্ধ এরা দেশবিরোধী স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী। এরা দেশের স্বাধীনতার শান্তি বিনষ্টকারী তাদের ‘উদ্ধত্য ও ধৃষ্টতা’র আ্যখা দিলেন সংস্কৃতি সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

এ দেশ সকলের সবার অধিকার সমান। সকল ধর্ম, বর্ণ, মতপার্থক্য সর্বশ্রেনীর সকল জাতির সম অধিকার সম্প্রীতির দেশ। কোন সম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনা শান্তিবিনষ্ট কোন বিষয় নিয়ে কোন ইস্যুতে থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন গোষ্ঠী শ্রেণীর কোন দলের একে অপরের উপর কর্তৃত্ব খাটানো যাবে না। বেআইনিভাবে কারো অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না। এমন প্রত্যাশা করেন সচেতন সর্বস্তরের মানুষ এবং দেশের জনগণের। এবং এদেশে কোন জাতীয় সংগীত পরিবর্তন ইস্যুতে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তবর্তীকালীন সরকার।

আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাক্ষে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা এই মুহূর্তে এমন কোনো কাজ করতে চাই না যা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হোক।

‘জাতীয় সংগীত বাতিল চাই” দাবিকারী স্বার্থন্বেষী ধর্মান্ধ দেশের স্বাধীনতার ষড়যন্ত্রকারী ‘উদ্ধত্য ও ধৃষ্টতা’র আ্যখা-উদীচী চট্টগ্রাম ও একাধিক সংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ, আযমীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা ’ ঘোষণা করেন। জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবিকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে একযোগে সেটি গেয়ে প্রতিবাদ জানাল চট্টগ্রামের মানুষ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার, (৬ই সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় চট্টগ্রামে চেরাগি মোড়ে মানববন্ধন বিক্ষোভ প্রতিবাদ ও আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে ”সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিবাদস্বরূপ সশরীরে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি পালিত হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

দেশে স্লোগান আন্দোলন উঠেছে জাতীয় সংগীত বাতিল চাই। প্রশ্ন বাতিল চাই কে বা কারা? যারা বিগত স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে যারা নানাভাবে হয়রানি ভোগান্তি অপরিণীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। শিকার হয়েছেন অমানবিক নিপীড়ন নির্যাতনের । তারাই এবং দেশের সচেতন নাগরিক দেশপ্রেমিক দাবি করছেন তাঁরা। তাদের দাবি, দেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবী উঠেছে দেশের প্রকৃত ইতিহাস ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ আলোকিত করার লক্ষ্যেই নীতি নির্ধারক আদর্শ চেতনায় দেশমাতৃকার উজ্জল জাগ্রত চেতনায় ইতিবাচক গভীরতায় নানা ইস্যুতে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন অথবা বিকল্প সংগীত বেছে নেওয়ার সময় হয়েছে। যা পরিবর্তন করা আমাদের দেশের ও মানুষের অধিকার। বাংলাদেশী ও বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে দেশ ও মাতৃভূমি মাটির প্রকৃত ইতিহাসে আরো দৃঢ়তায় জাগ্রত করবে আমাদের বাংলাদেশের অতীতের বর্তমান ও ভবিষ্যতের চিন্তাধারা।

কিন্তু যুগ যুগ ধরে লালন ধারণ পালন করে আসা জাতীয় সংগীত কোনমতে কোনভাবে কোনরকম এই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যারা পরিবর্তনের দাবি তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে সব রকমের প্রতিবাদ প্রতিরোধ এবং সব রকমের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রয়োজনে জীবনবাজি রেখে হলেও জাতীয় সংগীত জাতীয় পতাকা এবং এদেশের মুক্তিযুদ্ধ না না ইসুতে যারা ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টিকে ধর্মান্ধ স্বার্থন্বেষী মহল ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করছে বলে দাবি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে সব রকমের আন্দোলন প্রতিবাদ জীবন বাজি রেখেও মরণ আগ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন বলে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে সংস্কৃতিমনা নানা সংগঠন ও সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষের দাবি আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছেন যাবেন। জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।

চট্টগ্রামেও জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ, আযমীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবিকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে একযোগে সেটি গেয়ে প্রতিবাদ জানাল চট্টগ্রামের মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সম্মিলিত কণ্ঠে বুকে হাত রেখে গেয়ে ওঠেন জাতীয় সংগীত; কারও চোখ ছিল ছলছল। চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এসময় মাইকে ‘আমার সোনার বাংলা’ বেজে ওঠার সঙ্গে জাতীয় পতাকা হাতে তারা একযোগে কণ্ঠ মেলান। শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, সাধারণ শিক্ষার্থী ও দিনমজুর মানুষেরা জাতীয় সংগীত গেয়ে ওঠেন বুকে হাত রেখে। কারও চোখ ছিল ছলছল, আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কেউ কেউ।

ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ‘স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থি’ আখ্যা দিয়ে তা পরিবর্তনের দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও। বাহাত্তরের সংবিধান ‘বৈধ নয়’ মন্তব্য করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করারও দাবি জানান সেনাবাহিনীর সাবেক এ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।

এর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল প্রতিবাদ জানান অনেকে। জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বক্তব্যকে ‘উদ্ধত্য ও ধৃষ্টতা’ আখ্যা দিয়ে আমান আযমীকে চট্টগ্রামে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি থেকে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাওয়া জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতের ওপর কোনো আঘাত আসতে দেব না।

“দেশের জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতের সামিল। জীবন দিয়ে হলেও এ ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াব।”

চেরাগী পাহাড় চত্বরে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। উদীচীর দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ বলেন, “ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতসহ এদেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণের সব বিষয় নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে।

“একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যূত্থানের মূল সুরকে বিকৃত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বিরোধিতা করা থেকে শুরু করে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকার ওপর আঘাত হানতে শুরু করেছে।”

উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক অসীম বিকাশ দাশ, উদীচী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি কবি ইউসুফ মাহমুদ, খেলাঘর সংগঠক মোর্শেদুল আলম, আশীষ ধর, শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কার্যকরী কমিটির সদস্য বাপ্পা চৌধুরী, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম কর্মসূচিতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য :
ঠিক কি কি কারনে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে যারা পরিবর্তন চান তারা মনে করেন। ১. জাতীয় সংগীতের জন্ম ১২০ বছর আগে, অর্থাৎ বাংলাদেশ জন্মের ৬৬ বছর আগে। ২. এটিতে বাংলাদেশের নাম নাই, যা আমাদের হীনমন্যতায় ভোগায়। ৩. সংগীতটিতে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের উল্লেখ নাই। আমাদের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নয় কি? ৪. এটিতে বাউলশিল্পী গগন হরকরার গান “আমি কোথায় পাব তারে” থেকে আইডিয়া ও সুর চুরি প্রমাণিত ও স্পষ্ট, যদিও ‘অনুপ্রাণিত’ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ৫. ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি রচিত হয়েছিল, বাংলাদেশের সাথে এটির সম্পর্ক একেবারেই ক্ষীণ। ৬. এটি সংকটে কিংবা দুর্দিনে আমাদের জাগ্রত রাখার সক্ষমতা খুব কমই রাখে। ৭. এটির রচয়িতার প্রতি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মতাদর্শের মিল নাই। সুস্থ মন মানসিকতায় হোক প্রতিটি মানুষের চিন্তা চেতনা। প্রতিটি মানুষের জীবন পরিবার সমাজ ভুবন দেশ। সকলের শুভ কামনায়। ধন্যবাদ সকলকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট