নওগাঁ প্রতিনিধি-
নওগাঁয় পূর্ব শত্রুতার জেরে কীটনাশক প্রয়োগে আশরাফুল ইসলাম নামের এক কৃষকের ফসল(ধান) নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (১সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় তার ধানের জমিতে গিয়ে দেখততে পায়,তার সকল ধানগাছ কিটনাশক প্রয়োগে বিনষ্ট করছে প্রতিপক্ষরা।
ভুক্তভোগী ওই কৃষক নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের চক দাশড়া গ্রামের বাসিন্দা। তথ্য সংগ্রহকালে ওই একই এলাকার মোঃ আব্দুল হামিদ, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ আঃ সামাদ, মোঃ আঃ সাত্তার সকলের পিতা মৃত শফির উদ্দিন এবং আইজুল ইসলাম, মোঃ আতাউল ইসলাম পিতা আঃ ছাত্তার এর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, চক- দাশড়া মৌজার আর এস খতিয়ান ০৮ এবং দাগ নং ৩৮৯ এর মালিক আমার পিতা মৃত রফিক উদ্দিন। আমার পিতা মারা যাওয়ার পর আমার ৫ বোন এবং মা সহ আমি ওই দাগের ৫৪ শতাংশ জমির ওয়ারিশ থাকি। পরবর্তীতে আমার মা এবং বোনদের অংশ আমি ক্রয় করায় পুরো সম্পত্তির মালিক আমি হই। ৫৪ শতাংশের মধ্যে ৮ শতাংশ জমি আমার সাংসারিক দায়বশত বিক্রি করি। বাকি ৪৬ শতাংশ জমিতে আমি বর্তমানে ভোগদখলে রয়েছি। বিগত দিন থেকেই উল্লেখিত ব্যক্তিগনরা আমার পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে । গ্রাম্য শালিসী বৈঠকে অভিযুক্তদের সঠিক ও বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় গ্রাম্য মাতব্বর প্রধানরা আমাকে আমার জমি বুঝিয়ে দেন। এরপরও আমার সম্পত্তিতে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে দখলচেষ্টা চলমান রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবং আমার অর্থনৈতিক ব্যপক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে, গতরাতে গোপনে আমার রোপনকৃত ধানের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে। এতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি।
এবিষয়ে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উল্লেখিত তফসিলে বর্নিত সম্পত্তিটি বিবাদমান অবস্থায় ছিল। আঃ হামিদ গংরা সম্পত্তিটির মালিক দাবী করলেও প্রয়োজনীয় এবং বৈধ কোন দলিলপত্রাদি দেখাতে না পারায় গ্রামের শতাধিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সম্পত্তির মূল মালিক আশরাফুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষরা উল্লেখিত সম্পত্তি দখলের যে অপচেষ্টা তা চলমান রেখেছে। সম্প্রতি ফলস নষ্ট করার প্রসঙ্গে অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও ঘটনাটি কে বাবা কারা ঘটিয়েছেন সে বিষয়ে কেউই সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নাই।
এ ব্যপারে মনি বেগম নামের একজনের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আঃ হামিদ গংরা ভুক্তভোগী পরিবারের আত্মীয় বটে। তবে তারা দাঙ্গাবাজ এবং ভূমিদস্যু। বিগত দিনে সন্ত্রাসী কায়দায় সঙ্গবদ্ধ লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মারপিট, জখম সহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে । প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকিসহ নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন তারা। স্থানীয় প্রসাশনের নিকট তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানানও তিনি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আজিজুল ইসলামের সাথে কথা হলে বিষয়টি অস্বীকার তিনি জানান, আমরা ফসলে কোন রকম কীটনাশক প্রয়োগ করিনি, এটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ।