মো.ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় রেমাক্রী ইউনিয়নের খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ৬৫ জুমিয়া পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় চার টন চাল, ১৫০ কেজি আলু, ১৫০ কেজি নাপ্পি, ১৫০ কেজি শুঁটকি, ১৫০ কেজি লবণ ও ডাল বিতরণ করা হয়েছে। বিজিবির উপস্থিতিতে পাড়ার লোকজনের মধ্যে এসব ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র থানচি উপজেলার বুলুপাড়া,মেনহাতপাড়াসহ খাদ্য সংকট রয়েছে এমন পাড়াগুলোতে নিজস্ব উদ্যোগে সংগৃহীত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ১৫টি নৌকাযোগে গিয়ে জুমিয়াদের এ ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে। এদিকে খাদ্য সংকটের খবরে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যেই পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী ৬৫ জুমিয়া পরিবারের ২৭০ জনের মতো লোক আগামী ছয় মাস পর্যন্ত খেতে পারবে। তবে ত্রাণসামগ্রী পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর কাছে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে তা দুই-তিন মাসেও শেষ হওয়ার কথা নয়। জুমের ফলন পাকার আগমুহূর্তে প্রতিবছরই এমন সংকট দেখা দেয় পাহাড়ের কিছু এলাকায়। বিষয়টি নিরসনে বছরের সংকটকালীন মুহূর্তগুলো ঠিক করে প্রতিবছরই জুমচাষিদের ত্রাণ সহযোগিতার স্থায়ী একটা প্রদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, সংকটের ত্রাণ যাতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে না পৌঁছায় সেটি লক্ষ রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শোনার পর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।