সময়ের পথ ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএমআপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারাদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। যাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের সময়ে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
এছাড়া, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনার সময় থানায় সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায় আক্রমণকারীরা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তবে সে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। আরও বহু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। সেসব অস্ত্র এবং আগে থেকে অনেকের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রমসহ নিয়মিত টহল ও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে বলে এরই মধ্যে একাধিকবার জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।