নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় উপজেলার ৩ নং পরানপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে জোর করে তার ইউনিয়ন পরিষদের পেডে একটা লিখিত কাগজ জোরপূর্বক সাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজু রহমান উজ্জ্বল। তিনি বলেন, আমি ২০২১ সালে ১৮ই নভেম্বর চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হই এবং নিয়মিত সুনামের শহীত ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসছি, কিন্তু হঠাৎ করে, গত ২২/৮/২৪ তারিখে আমার ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে আমার দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় আনুমানিক সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকার দিকে হঠাৎ করে আমার রুমের ভিতর ২০ থেকে ৩০ জন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে আমাকে নানা রকম প্রশ্ন ভয় ভীতি দেখানো শুরু করে, এবং বলে আমরা যেটা করতে বলব ঠিক সেটাই করবি না করলে বিষয়টা ভালো হবে না বলে হুমকি দেয় পরে আমার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কক্ষে গিয়ে আমার পরিষদের একটা প্যাড নিয়ে এসে আমাকে জোর করে, প্যাডে আমার পদত্যাগের বিষয়ে কিছু লিখতে বলে আমি ওদের ভয়ে লিখে দিয়েছি কিন্তু আমি কারো বরাবর কোন কিছুই লিখে দিইনি, ওটা একটা খোলা কাগজ ছিল মাত্র, পরে পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যখন গেল,
সেনাবাহিনী উদ্ধার করে ইউ এন ও স্যারের চেম্বারে নিয়ে যায়। এবং ইউএনও স্যার আমাকে উক্ত লিখিত কাগজ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বলি আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক আমার ইচ্ছার বাহিরে উক্ত কাগজটিতে স্বাক্ষর নেয়। তার ওই খোলা কাগজ যেটা আমি কারো বরাবর লিখিনি , ইউএনও স্যার রিসিভ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে আমি নিজেই জেলা প্রশাসক বরাবর ও অন্যান্য দপ্তরে লিখিত ভাবে বাদী হয়ে অভিযোগের মাধ্যমে আমাকে জোরপূর্বক চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করানোর বিষয়ে অভিযোগ করেছি।
তবে এই বিষয়ে মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গোলাম আজমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল ভাইয়ের সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করলে প্রশাসনে সেই ব্যবস্থা নিতো। কিন্তু এভাবে জোর করে,ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষর করে নেওয়া বিষয়টি দুঃখ জনক বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আনজুমান বানুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের একটা পদত্যাগ লেটার আমি পেয়েছি কিন্তু পদত্যাগ লেটার আমার বরাবর লেখেননি তিনি, ওই লেটার আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।