ছাত্র জনতা আন্দোলন,বিএনপি-জামায়াতপন্থী সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অপসরণের দাবিতে
——–
প্রত্যাহার হচ্ছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফখরুজ্জামান!
মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব।
ছাত্র জনতা আন্দোলন,স্থানীয় সমন্বয়ক-শিক্ষার্থী,
বিএনপি-জামায়াতপন্থী সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের দাবিতে প্রত্যাহার হচ্ছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক!
স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত পর যারা বিগত আন্দোলনে ‘বিতর্কিত’ ভূমিকা রেখেছেন, তারা আগে প্রত্যাহার হবেন। আর সেই তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকও! চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে! নতুন করে ডিসিদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে।
এদিকে, শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বীর প্রতীকের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শেষে উপদেষ্টার কাছে অবিলম্বে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ‘অপসারণ’ দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক-শিক্ষার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের ডিসি হিসেবে কর্মরত অনেকের মেয়াদ ৩ বছর ছুঁই ছুঁই। তাদের দ্রুত প্রত্যাহারের একটা আলোচনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে থেকেই চলছিল।
এর আগে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা এক বিবৃতিতে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে ‘বরখাস্ত’ করার দাবি জানায়।
আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এর আগে, তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘নিয়োগ-পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ’ এর উপসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন।