চট্টগ্রামের ভয়ংকর চাঁদাবাজ ‘জানে আলমকে গ্রেপ্তার দাবীতে মানববন্ধন
মোঃ সফিউল আজম রুবেল
চাঁদাবাজি ও শ্রমিক নির্যাতন করে এসেছেন আলোচনায়, হয়েছে মামলা। কিন্তু তারপরেও দমেনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া কোতোয়ালি এলাকার জানে আলম। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন, লুটপাট এবং ভূমিদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের (সিএমপি) কাছে একটি আবেদন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের নিরীহ শ্রমিকরা। সাধারণ শ্রমিকদের ভাষ্য, জানে আলম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গড়ে তুলেছেন একাধিক কিশোর গ্যাং।
বৈষম্য বিরোধী সরকার পতন হলেও সরকার দলীয় শ্রমিক লীগ নেতা জানে আলমের পতন ঘটেনি।
সোমবার নগরের নতুন ব্রিজ টু নিউমার্কেট এলাকা ১৭ নং রুটে অটোটেম্পো লাইনে চাঁদাবাজি ও শ্রমিক নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় জানে আলমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী চালক শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতা জানে আলম পরিবহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, মেট্রো আরটিসির রুট অমান্য করে শ্রমিক-মালিক-যাত্রী নির্যাতন , ভাড়া নৈরাজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকার দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ তুলেন তারা। দীর্ঘকাল যাবত মেট্রো আরটিসি অনুমোদিত ১৭ নং অটোটেম্পো রুটে চালকদের ভর্তি ফি ২৫ হাজার টাকা। কর্মকালীন সময়ে নতুন ব্রীজ,কোতোয়ালী মোড় , জিপিও এলাকায় বিভিন্ন স্তরে দৈনিক ২৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।
এছাড়া এই রুটে সিলিং সংখ্যা ১৪০ টি হলেও পারমিটবিহীন বহিরাগত অটোটেম্পো ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সংগঠনের নামে চলার সুযোগ করে দিয়ে থাকে এবং পারমিট অনুমোদিত অটোটেম্পোও এককালীন ২০ হাজার টাকা নিয়ে মাসিক ১ হাজার টাকা করে প্রায় ৪০০ টি গাড়ি থেকে নিয়মিত মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছে। ১৭ নং অটোটেম্পো রুটটি নতুন ব্রীজ থেকে মেরিনার্স রোড হয়ে ফিরিঙ্গীবাজার-কোতোয়ালী-নিউমার্কেট হয়ে টাইগারপাস পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত কর্তাদের অনৈতিক ফায়দার বিনিময়ে পরিপূর্ণ রুটে গাড়ি না নিয়ে জিপিও নিউ মার্কেটে অবৈধভাবে স্টেশন স্থাপন করায় একদিকে যাত্রীদের হয়রানি , ভাড়া নৈরাজ্যসহ অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি করে আসছে।
শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি নির্যাতন করে আসছে ৩ বছর ধরে। পরিবহন চালক সহ ২০০ এর বেশি শ্রমিককে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন করে আসছে শ্রমিক লীগ নেতা জানে আলম। সেই আওয়ামীলীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।
এসময় বাকলিয়া বাস্তহারা বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ সোহেল কুটুম বলেন, জানে আলম আওয়ামী লীগের একজন দালাল সেই নিজেকে এখন বিএনপি পরিচয় দিতেছে। জানে আলম এর পতন চাই আমরা সবাই এক হয়েছি আমাদের সাথে শ্রমিকরা সবাই মিলে থাকে প্রতিহত করবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদ তিনি বলেন, জানে আলম শ্রমিক নির্যাতন ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। আমরা আমাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে দিছি।
চালকরা জানান, জানে আলম আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আওয়ামী লীগ সরকার থাকা অবস্থায়। আমরা এই মামলা থেকে মুক্তি চাই আমাদের পরিবারে পযন্ত হয়রানি করছে মামলা দিয়ে। এই মামলা বাজ চাঁদাবাজ জানে আলম কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানায়। বর্তমান সরকারের কাছে আমরা একটু সু বিচার পাবো বলে আশা করি।এইসব উপস্থিত ছিলেন ৩০০ এর বেশি শ্রমিক, এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।