অবৈধ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ত্রাসের হুকুমদাতা
হাছান মাহমুদকে গ্রেফতার পূর্বক জাতির সামনে হাজির
তার ভাই-বোনদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নেওয়ার আহ্বান
স্বৈরাচারের মদদদাতা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণের দাবি
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে অবিলম্বে অবৈধ সরকারের সাবেক সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে গ্রেফতার পূর্বক জাতির সামনে হাজির ও তার পরিবার এবং ভাই-বোনদের সকল অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে জব্দ, চট্টগ্রামের সিরাজউদ্দৌলা রোডে বিশাল ১১ তলা ভবনসহ, রাঙ্গুনিয়ায় পেট্রোল পাম্প, বাড়িসহ সব জরুরি ভিত্তিতে জব্দ করে সরকারের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে সমস্ত হত্যাকা-, সন্ত্রাসের মূল নায়ক হচ্ছে ওবায়দুল কাদের চৌধুরী ও হাছান মাহমুদ। বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও লুটেরা এমপিদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দুই দিন আগে শান্তি কমিটি গঠনের মাধ্যমে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে কঠোর হস্তে দমন করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সে জন্য তাকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। উল্লেখিত জেলা প্রশাসক সম্প্রতি সার্কিট হাউজে এবং জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দদের সাথে যে ধরণের অদ্যুতপূর্ণ আচরণ দেখিয়েছে সেজন্যে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া যেসব গণমাধ্যম অতীতে পতিত স্বৈরাচারের পদলেহন করে সুবিধাভোগ করেছেন ছাত্র জনতায় উস্কানি দিয়েছেন এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে সাম্প্রতিক সম্প্রতি বিনষ্টে অপচেষ্টায় নিয়োজিত। বিশেষ করে লুটেরা শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের টিভি চ্যানেলে এখনো কৌশলে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এব্যাপারে অন্তর্বতীকালী সরকারের বিশেষ করে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক নসরুল কাদির চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাসান আরিফ, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, ড্যাব মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কোর্ট বিল্ডিং শাখার সভাপতি আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মো. আলাউদ্দিন ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জালাল উদ্দিন পারভেজ।
বিশেষ প্রতিবেদন চট্টগ্রাম।
সাইফুল ইসলাম শিল্পী
সদস্য, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম।